সেপ্টেম্বরের বৃষ্টি, হাবিজাবি – ২৮/০৯/২০১৭
১
একটা কালো রংয়ের
বাইসাইকেলে মিশে গেছে অমাবস্যা,
অত:পর তাকে বললাম-
সম্পর্কগুলো ক্রমশ আমার কাছে অর্থহীন
সে আকরিক হোক অথবা বায়বীয় কেমিস্ট্রি-
২
তুমি যতটা নিষ্ঠুর;
ততটাই ক্ষতের আড়াল
পৃথিবীর তাবৎ নীল ঢেউ,
এই আমি একদিন ডুবে যেতে
দেখবো পুরো নোনা জলজুড়ে
তোমার মিথ,
-ভাসছে আর উড়ছে সফেদ গাংচিল!
৩
গোলাপী রংটাতে ছুড়ে দেয়া ঘৃণা,
চশমাটা যতটা ভারী ততটাই
সেপ্টেম্বর, একটু একটু শরৎ
একটু একটু বিচ্ছেদ,
ভুলতে চাই, ভুলতে চাই গোলাপী সুনামীর ছবি !
৪
উঠানের সফেদ ফুল জুড়ে শ্যাওলা সবুজ,
হে, কবিতা
– অপেক্ষায় এখনো যৌবন আসেনি
তবুও চারদিকে আজ বৃশ্চিক পদধ্বনি !
গজলের কষ্ট কথা- হাবিজাবি, ২৫ / ০৯/ ২০১৭
এই অচেনা অভিমানগুলো মনে কষ্ট দিতে আসে,
হয়তো ফিরে যেতে নিয়ে যায় না’বলা সকল অশ্রু প্লাবন-
আব তাক দিল – এ- খুশফেহাম কো তুঝ সো হ্যায় উমিদেন…..
আশাগুলো ক্রমশ ভাবতে থাকা –
মানা কে মুহাব্বাত ছুপানা হ্যায় মুহাব্বাত,
চুপ ! নিশ্চুপ ! অলিন্দে শিহরণ খেলে বয়ে চলে অন্তঃসলিলা।
ঝড়ো হাওয়া- হাবিজাবি, অক্টোবর ০১, ২০১৬
আমার বন্দরে সে উড়ো হাওয়া, ভুলেও থাকে না নিশ্চুপ ! চকোলেট গভীরতায় নরম গলে গলে ডুবে যায়- পুরো কেন্দ্র- পৃথিবীর চুম্বকে তার তবুও নেই কোন স্পর্শ- বলেছি প্রসারণে-
যত গভীর হবে ত্বক ততটাই খোলতাই পীত; একটা কষেরুকার আড়ালে নেমে আসা নদীজুড়ে পুরোটাই লাভার স্রোত-
আলতো ইশারায় থমকে দেয়া সময়ে সে বোঝে না, পৃথিবীর আহ্নিক গতি আজ খুব বেশি অসহায়!
এখন হলুদাভ আকাশ- হাবিজাবি, ০২/১০/১৩ইং
এখন হলুদাভ আকাশ-
শরতের কাশফুল আর
উপরে দুলতে থাকা আমাদের আকাশ-
এখানে তেমন বৃষ্টি পড়ে না,
তবুও থামে চৌরাস্তা- মাঝে মাঝে
পায়চারী করে ফেরা পথচারী
কেউ হাঁটে- কেউ দাঁড়ায়- বিস্তীর্ন হাহাকার-
সামনের চারলেনে ছুটে গেলে বাইক-
হররোজ কেউ দ্যাখে- শার্সি উঠায়,
টিন্টেড জানালা সরে এলে কেউ
পূবে আর পশ্চিমে- উত্তর কিংবা দক্ষিণে
পার করা মেঘে মেঘে কত না আলোর খেলা,
ফোটা বৃষ্টিতে কোথাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পায়রারা
ক্রমাগত খোজে এক প্রাচীনতর গাছ-