হাসান রোবায়েত- এর পাঁচটি কবিতা
জুতা
শৈশবে আমার কোন জুতা ছিল না
শুধু মাপ ছিল পায়ের
*
ব্রিজের উপর থেকে যে মুখ ভেসে যায়
তখন দুপুরের নাইলন
দূরের ছাতিম গাছে ঝুলে থাকে তিরতির
কোথায় সেইসব পরিমিত নফস্
পানির বোঁটায় ফুটে থাকা ভাত
তবে হে স্বরসন্ধির ফুল
কতখানি মুনাফিক হলে বায়ু
থামিয়ে দেয় জুতা, ঘরের বিদেশ
সবুর
আব্রুখোলসের নিচে
ঐ ধৈর্য্য
ঐ অমূলক স্ফিয়ার
পড়ে আছে সঙ্কেতময়—
অসত্য স্পন্জ,
তুমি হ্রেষা, হঠাৎ জাহির হও সনাতন
ডাকে নুন, বাসে ভালোবাসাটির চেয়ে ভালো—
উঁচু কোনো সবুরের ভেতর
অজস্র মাছ পার হয় মধ্যরাত—
মাংসের ভালগার তুমি
ঈমানে বিমূর্তায়ন!
অগ্নিবিশ্রাম
ছেঁড়াস্যান্ডেলেরপাশেই থেমে যায় ধানক্ষেত—
অন্ধ ভীষণ ফুলগুলি তার
জেগে ওঠে মীনদৃশ্যে
তখন একেকটা দুপুর ছুতারেরা রেখে গেছে ময়না কাঁটার নিচে!
যে পিতা মুখ ভর্তি করে নিয়ে আসে ডলফিন মাছ
গভীর রাত্রিতে
অন্য জবার দিকে
আমরা তাকিয়ে থাকি
নিম গাছটির নিচে একটি রাজহাঁস
উড়ে যায় অগ্নিবিশ্রাম—
মৌরীত্রাস
জামা খুলতেই
পৃথিবী ছাড়িয়ে যাচ্ছে লেবু
এক ঝাঁক মৌরীত্রাস
কথা তো কতই হলো, পাখিদের দরগা থেকে
আনা হলো দুধের বিশ্বাস
যে বীজ শীতকাল বরাবর মা
কিছুই রইলো না—না পালক না পরমা
কেউ কেউ মন দিয়ে পড়ছে ঝাউপাতা
কারা যেন বাড়ি চেনাতেই এগিয়ে দিচ্ছে দেশ
বুদ্ধের হিংসা
রেণু-বিষয়ক গল্পকে অর্ধেক ফুল বলে মনে হয়—
চাকার অবিশ্বাস থেকেই
বেড়ে উঠছে পথ—
বুদ্ধের হিংসাগুলো ততদূর সরে যায়
যেখানে দোয়েল ও দ্বৈরথে ফুটে আছে একছিপি ভোর
*
সতর্ক বাঘের দিকে, কে তুমি , ঠেলে দাও ক্ষুধার রূপক!
এখানে গাছগুলো
রোজ শিখে নেয় কুম্ভ রাশির ফুল—যেভাবে কলারের তিল
স্ত্রী-লোকের ঢং—
হাঁটুতে পদ্মের ছায়া:
উড়ন্ত রাত্রির নিচে ঝুর ঝুর উড়ে যায় প্রভূত জোকার—