কবি, চিন্তাবিদ এবং সমাজবিপ্লবী এই তিনটা জিনিস ত এক না! কিন্তু আবার একইরকম হইতেও তো পারে! মানে, একজন মানুষ তিনটা কাজই করতে পারেন তো। আমার আগ্রহ মূলত কবি’রে নিয়া। কবি’র

নদী মরে যাচ্ছে ,নদীটির তীর ধরে দাঁড়িয়ে আছে একটি চপলা বট বৃক্ষ। নদীর পানিতে তার ছায়া পড়ে, নদীটি মরে যায় এবং পানিতে ছায়ার সমাপ্তি ঘটে। যদিও মৃত্যু ভয়ংকর কিন্তু এই

একদিন মানুষ প্রকৃতির বিস্ময়কে ধ্বনি দিয়ে ধরতে চেয়েছিলো, একদিন যূথবদ্ধ মানুষের পরিশ্রমের মধ্যে তাল আনার জন্যে ধ্বনির ব্যবহার হয়েছিলো, একদিন মানুষ সূর্যকে দেবতা জ্ঞান করে প্রশস্তি গেয়েছিলো, একদিন মানুষ কল্পিত

মিথ মানুষের নৃতাত্ত্বিক অভিজ্ঞানের অংশ। সংসদ অভিধান জানাচ্ছে, পুরাণ (ভারতীয়) হলো বৈদিক যুগের পরবর্তীকালে ইতিহাস বা জনশ্রুতি অবলম্বনে ব্যাসদেবের সংকলিত শাস্ত্রগ্রন্থ বিশেষ যার সর্গ, প্রতিসর্গ, বংশ, মন্বন্তর ও বংশানুচরিত- এই

টেলিফোনে পাওয়া সংবাদটি হতচকিত হওয়ার মতো না হলেও দুঃখ পাওয়ার মতো, কেননা যে নামটি খবরটির সাথে জুড়ে ছিল সেটির সাথে একাত্ম হয়ে আছে বহু দূর ফেলে আসা আমার ছেলেবেলার বহু

ইংল্যান্ডে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সব শক্তি, সময় ঢেলে দেন লেখায়। মৌলিক নয়, ফরমায়েশি লেখা। লন্ডনের বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে সাহিত্য সমালোচনা, বই পরিচিতি, প্রবন্ধ। সংসারের খরচ চালাতে

[১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ একটানা ছয় মাস ইউরোপের কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেন। সেই ভ্রমণ ছিলো একই সাথে সফল এবং বিতর্কিত। ইতালীতে ফ্যাসিস্ট মুসোলিনীর অতিথি হয়েছিলেন বলে একদিকে কবির সমালোচনা হয়েছে, আর

১. আত্মহত্যা ধর্ম ও রাষ্ট্রপক্ষ উভয়ের দৃষ্টিতেই গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। তাই বৃহত্তর জনগোষ্ঠী সর্বদাই ‘আত্মহত্যা’ প্রপঞ্চটির উপর সবিশেষরূপে খড়গহস্ত। প্রমাণস্বরূপ, তারা জীবনানন্দ দাশের আত্মহত্যার ঘটনাটিকে প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ থাকা সত্ত্বেও

“দেখেছি কবিতাগুলি বিকশিত হয়ে বিশুদ্ধ গণিত হয়ে গেছে”                                                               –বিনয় মজুমদার কুহক ও কূটাভাসে জড়ানো এই উক্তি। কারণ আমরা জানি– গণিত হলো সেই বিষয়, যা যুক্তির শৃঙ্খলা গড়ে এবং মেনে

লেখকের জাদুবাস্তববাদ ও জাদুবাস্তববাদী লেখক নিয়ে আমাদের ‘কী করবার’ ও ‘কী কারবার’- সেকথায় যাওয়ার আগে আমার ‘লেখক কে’ ও ‘লেখা কী’- সেদিকে একটু নজর বুলিয়ে আসি। কারণ বহু বার বলা

জনপ্রিয় ধারণায় রাম-রামায়ণ-বাল্মিকীরে কৃষ্ণ-মহাভারত-দ্বৈপায়ন থাইকা প্রাচীন ভাবা হইলেও ঘটনা কিন্তু ঠিক উল্টা। এর পক্ষে পয়লা জোরালো যুক্তিটা হইল দক্ষিণ দিকে আর্যগো ভারত-বিস্তারের কালক্রমের লগে দখলি-মানচিত্রের হিসাব। মহাভারতের ঘটনাস্থল থাইকা রামায়ণ

ভারতীয় পুরাণ ঘাঁইটা ইতিহাস খুঁজতে যাওয়ার সব থিকা বড়ো ঝামেলাটা হইল এইসব পুরাণের রচয়িতা ঋষি কিংবা কবিদের অন্য কোন বিষয়ে কোন জ্ঞান আছিল আর কোন বিষয়ে আছিল না সেইটা নিশ্চিত